ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেলে যত টাকা ফেরত পাবেন গ্রাহক!
আপলোড সময় :
২৬-০৩-২০২৫ ১২:৪০:৪৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৬-০৩-২০২৫ ১২:৪০:৪৫ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতকারীরা, যদি কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে যায়, ব্যাংকে যত টাকা জমা থাকুক না কেন, গ্রাহক সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন। এটি হচ্ছে সরকারি একটি উদ্যোগ, যা ‘আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নামে একটি নতুন অধ্যাদেশের আওতায় আসবে।
বাংলাদেশে অনুমোদিত কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হলে আমানতকারীরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পাবেন। এতদিন পর্যন্ত এই সীমা এক লাখ টাকা ছিল। নতুন অধ্যাদেশ পাস হলে ২০০০ সালের ‘ব্যাংক আমানত বিমা আইন’ বাতিল হয়ে যাবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সম্প্রতি এই অধ্যাদেশের একটি খসড়া তৈরি করেছে এবং জনগণের মতামত চেয়েছে। মতামত পাঠানোর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। ইমেইল ঠিকানা দেওয়া
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক জানান, খসড়াটি পর্যালোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আগামী ঈদের পর আরও একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
১. আমানত সুরক্ষা তহবিল: ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানতের সুরক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংক ‘আমানত সুরক্ষা তহবিল’ গঠন করবে। এই তহবিল পরিচালিত হবে আলাদা হিসাবের মাধ্যমে।
২. নতুন কর্তৃপক্ষ: বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় ‘ডিপোজিট প্রোটেকশন ডিভিশন’ নামে একটি নতুন বিভাগ গঠন করা হবে, যা এই তহবিল পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে।
৩. সীমাবদ্ধতা: সরকারি প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, বিদেশি সংস্থা বা আন্তর্জাতিক সংস্থার আমানত এই অধ্যাদেশের আওতামুক্ত থাকবে।
৪. শাস্তিমূলক ব্যবস্থা: ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমানত সুরক্ষা তহবিলের জন্য প্রিমিয়াম পরিশোধ না করে, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের চলতি হিসাব থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ কেটে নিতে পারবে। বিলম্বের ক্ষেত্রে জরিমানাও আরোপ করা হতে পারে।
৫. পর্যালোচনা: তিন বছর অন্তর একবার পর্যালোচনার মাধ্যমে সুরক্ষিত আমানতের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন জানিয়েছেন, তারা খসড়াটি পর্যালোচনা করছেন এবং নতুন সীমাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে ভবিষ্যতে এই পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশাবাদী।
যদি কোনো আমানতকারীর ব্যাংকে এক কোটি টাকা জমা থাকে এবং সেই ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যায়, তবে তিনি সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ফেরত পাবেন। বাকি অর্থ ফেরত পাওয়ার কোনো নিশ্চয়তা থাকবে না।
সেলিম আর এফ হোসেনের মতে, গ্রাহকদের উচিত ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সক্ষমতা, সুশাসন এবং ঋণমান ভালোভাবে যাচাই করা। কেননা, সঠিক প্রতিষ্ঠান বাছাই করলে আমানতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স